Blog
সুন্দরবনের খাঁটি মধু আমরা কি মধু পাচ্ছি? সুন্দরবনের খাঁটি মধু কোথায় পাওয়া যায়?
শিশু জন্মের পরেই আমরা মুখে মধু দেই তাছাড়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা মধু সেবন করে থাকি আর এখানে কেমিক্যাল যুক্ত মধু খেলে তার বিপরীত ঘটে। তাছাড়া ভেজাল মধু সেবনের মাধ্যমে আমাদের কিডনিতে সমস্যা হয়। বিভিন্ন ভেজাল খাবার সেবন করার মাধ্যমে দিনদিন কিডনি রোগ বেড়েই চলছে। তাছাড়া ফিটকিরি যুক্ত মধু প্রতিনিয়ত খেলে পেটে ক্ষত তৈরি হতে পারে আর সেই ক্ষত থেকে আলসার এবং আলসার থেকে ক্যান্সারও হতে পারে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি, রং, ফিটকিরি, কেমিক্যাল গ্লুকোজ ও ক্ষতিকর জিনিস মিশিয়ে চুলায় ফুটিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে। এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে মধুর ফ্লেভার আনা হয়, আর এই ভাবে কৃত্রিম মধু তৈরি করা হয়। এরপর এই মিশ্রিত মধু বোতলজাত করে তার গায়ে লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হয়। এভাবেই তৈরি হয়ে যায় সুন্দরবনের কথিত খাঁটি মধু। যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের সময়
সুন্দরবনে সাধারণত মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে ফুল ফোটে, আর এই সময় বিভিন্ন ফুলের থেকে পুষ্পরস সংগ্রহ করে।
প্রাকৃতিক ভাবে অনেক ফুল ফোটে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে তবে চারটা ফুল থেকে প্রচুর পরিমাণে মধু সংগ্রহ করে থাকে তা হলো খলিশা, গড়ান, কেওড়া ও বাইন। খলিশা ফুলের মধু খুবই জনপ্রিয়।
সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্য
মধু সাধারণভাবে তার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।
- এই মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটা খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি এবং মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হবে।
- সুন্দরবনের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হতে পারে তবে শীতকালে ফেনা হওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।
- তবে আরো একটা বৈশিষ্ট্য হলো এটা কখনো জমবে না হোক সেটা ফ্রিজে অথবা নরমাল তাপমাত্রায়।
আমরা যতটা সম্ভব আমাদের পূর্ণ অভিজ্ঞতার আলোকে সকল তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায়
মূলত খাঁটি মধু চেনার উপযুক্ত কোনো নিয়ম নেই ল্যাব টেস্ট ছাড়া। তাই অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বোকা বানিয়ে আপনাদের কাছে মধু বিক্রি করে। তাই খাঁটি মধু কিনতে হলে অবশ্যই একজন বিশস্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মধু ক্রয় করতে হবে।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু কোথায় পাওয়া যায়
সাধারণত খুলনা, বাগেরহাট, ও সাতক্ষীরায় এই মধু বেশি পাওয়া হয় তবে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে এই মধু পাওয়া যায়। তবে মধু ক্রয় করার সময় আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ বাজারে বর্তমানে অনেক ভেজাল বা মিশ্রিত মধু রয়েছে যাহা বিভিন্ন কেমিক্যাল এর মিশ্রণে তৈরি করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বর্তমানে মধু সরবরাহকারী অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার মাঝে অন্যতম হলো ইয়াম্মী বাই ড্রেসআপ। ইয়াম্মী বাই ড্রেসআপ দীর্ঘ কয়েকবছর থেকে মধু সহ অন্য অন্য গ্রোসারি পণ্য সামগ্রী নিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সুন্দরবনের মধু সরবরাহ করে থাকে। সুন্দরবনের খাঁটি মধু ক্রয় করার আগে এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু ধারণা নেয়া দরকার।
মধু সেবনের উপকারিতা
- সুন্দরবনের মধুতে ঔষধি গুণ রয়েছে ব্যাপক।
- এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম এবং অনন্য জৈব সক্রিয় আছে যা এর থেরাপিউটিক সুবিধা গুলিতে অবদান রাখে।
- শীতের সময় শরীরকে উষ্ণ রাখতে মধু সেবন অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- এটা সেবনের মাধ্যমে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- সর্দি-জ্বর উপশম করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য কমাতেও সহায়তা করে।
- রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয় মধু সেবনের মাধ্যমে।
সুন্দরবনের মধু নিয়ে আরো জানুন সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও গুণাবলী
Black Cumin Seed Flower Honey- কালোজিরা ফুলের মধু
In stock
Mustard Flower Honey- সরিষা ফুলের মধু
In stock