Fitness, Health

শীতে ঠান্ডা নাকি গরম কোন পানিতে গোসল শরীরের জন্য উপকারী?

bath with warm water

ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। তাই গোসলের প্রতি বাড়ছে অনীহা। কিন্তু সারাদিনের কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সকালের গোসল আমাদের সতেজ রাখে। এছাড়াও শীতকালে একাধিক রোগজীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে, যেমন জ্বর, সর্দি এবং কাশি। তাই এই পরিস্থিতিতে অনেকে ভেবে পান না ঠান্ডা নাকি গরম পানিতে গোসল করবেন। 

শীতে ঠান্ডা নাকি গরম? গোসলের জন্য কোন পানি বেছে নেবেন?

ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক আফজালুল করিম বলছেন, শীতের দিনে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা শরীরের জন্য উপকারি। তবে সেটা খুব গরম না হলে ভালো। যারা গরম পানিতে গোসল করবেন, তারা অবশ্যই কুসুম গরম পানি নেবেন। বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের চামড়ার ওপর তার প্রভাব পড়বে। তাই শীতে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে গরম পানিতে গোসলের কারণে ত্বক হয়ে পড়বে শুষ্ক, খসখসে। তাই গরম পানিতে গোসলের পর লোশন ব্যবহার করতে হবে।

শীতে কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

  • কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। 
  • এতে শরীর চাঙ্গা হয় কাজের প্রতি অনীহা দূর হয়।
  •  শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ে।
  • গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হয়।
  • সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি থাকলে গরম পানিতে গোসল করা উচিত। শ্বাস নিতে সমস্যা হলে গরম পানিতে গোসল করলে উপকারে আসে।
  • গরম পানিতে গোসলের ফলে ঘুম ভালো হয় এবং অনিদ্রা দূর হয়। 
  • ত্বক সুস্থ রাখতেও গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত। এর ফলে ত্বক থেকে মরা কোষ বেরিয়ে যায়।
  • বিভিন্ন সময় অনেকের পেশিতে টান পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশিগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে গরম পানিতে গোসল করা। কাঁধ, পিঠ, ঘাড়ে ম্যাসাজের মতো কাজ করে।

গরম পানিতে গোসল করার অপকারিতা 

  • সারা বছর গরম পানি গোসল করলে ত্বকের নমনীয়তা কমে যাবে।
  • মাথায় গরম পানি ব্যবহার একদম অযোগ্য গরম পানি মাথার চুলের গোড়ার কোষকে দুর্বল করে। ফলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • শরীরের এনার্জি লেভেল অনেকটা স্তিমিত হয়ে আসতে পারে।

শীতের গোসলে ঠান্ডা পানি ব্যবহারের উপকারিতা 

  • শুনতে অবাক লাগলেও শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য গরম পানির তুলনায় ঠান্ডা পানি বেশি কার্যকরী। ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে শরীরে থাকা কিছু টিস্যু সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা শীতের সময় শরীরকে উষ্ণ রাখতে ও শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করলে মাথায় খুশকির পরিমাণও কমে আসে। একজিমার মতো রোগের উপশম কমাতে ঠান্ডা পানি বেশি উপকারী। ঠান্ডা পানি মাথা ঠান্ডা রাখতে ও চুলকানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
  • গরম পানিতে গোসল করলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল অনেকটাই দূর করে ফেলে। ফলে চুল হয়ে পড়ে শুষ্ক। কিন্তু ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার কিউটিকল যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক চুলের দেখা পাওয়া যায় শীতেও।

শীতে ঠান্ডা পানি ব্যবহারের অপকারিতা 

  • বিশেষত নিউবর্ন বেবি বা বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কনকনে ঠান্ডা পানি ব্যবহার কখনোই উচিৎ নয়।
  • অ্যাজমা, আর্থারাইটিস রোগীদের জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল করা ঠিক নয়।
  • আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অনেকের ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা হুট করে নেমে যেতে পারে, পেশি সংকুচিত হয়ে যায়, ঠান্ডা, টনসিল, সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে।

শীতকালের গোসলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ

  • গোসলের সময় প্রথমেই মাথায় পানি না দেয়া ভালো। হাতে, পায়ে এবং শরীরে অন্য অন্য অংশে পানি দিয়ে শেষে মাথায় পানি দিতে হবে। হঠাৎ মাথায় গরম পানি দিলে যাদের প্রেশার থাকে তাদের প্রেশার বেড়ে যেতে পারে। আবার কারো ঠান্ডা পানি দিলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের হঠাৎ করে অ্যাটাক হতে পারে। সেজন্য শরীরে পানির তাপমাত্রা সইয়ে নিয়ে তারপর মাথায় দিতে হবে।
  • গ্রামাঞ্চলে গোসলের আগে এবং পরে তেল মেখে শরীরে রোদ লাগায়। এতে ভিটামিন ডি এর উপকারিতাও পাওয়া যায়, ত্বক ভালো থাকে।
  • শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সে কারণে গোসলের পর শরীরে লোশন ব্যবহার করা শ্রেয়। 

সর্বশেষ একটা কথা বলতে পারি আপনি শীতে যেকোনো পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন  তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি এবং অতিরিক্ত গরম পানি এড়িয়ে চলা উচিৎ। 

Neem Body Bar । নিম বডি বার (80 gm)

In stock

৳ 210
Add to cart

Rup Madhuri। রুপমাধুরী। Sandal Turmeric Brightening Body Polish (100gm)

In stock

৳ 280
Add to cart

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *