ভেষজ গাছ হিসেবে হরিতকীর খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কেন না এটি বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই ফল টি তেতো স্বাদের হলেও এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিত। হরিতকীর বৈজ্ঞানিক নাম টের্মিনেলিয়া চেব্যুলা। উচ্চতা ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। বৃক্ষ জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা হয়। এই ফল শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। শুকালে কালচে খয়েরি রং হয়। আর এই শুকনো ফল গুঁড়ো করে বাজারে জাত করা হয় আবার কখনো কখনো শুকনো হরিতকি বাজারজাত করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এর আদি নিবাস হলেও বাংলাদেশ ভারত সহ বিভিন্ন জায়গায় এটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল প্রভৃতি বনাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। চলুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই কিভাবে খেতে হয় এই উপকারী ভেষজ টি এবং এটি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
হরিতকী খাওয়ার উপকারিতা :
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হরিতকী গুঁড়ো অনেক কার্যকরী।
- গলাব্যথা বা মুখ ফুলে গেলে হরিতকী সেবন করুন। হরিতকী গুঁড়ো পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে ব্যথা কমে।
- চুল ভালো রাখতে এটি অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে।
- দাঁতের ব্যথা দূর করতে হরিতকী গুঁড়ো লাগালে ব্যথা দূর হয়।
- পেট পরিষ্কার রাখতে হজম শক্তি বাড়াতে সেবন করুন হরিতকী।
- চুলকানি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেবন করুন এই হরিতকী।
- পেটের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেবন করুন হরিতকী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হরিতকী অনেক কার্যকরী। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে এটি।
- যাদের মুখের রুচি কম তারা মুখের রুচি বাড়াতে হরিতকী সেবন করুন।
হরিতকী খাওয়ার নিয়ম
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হরিতকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- হরিতকী বা হরিতকী গুঁড়ো পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা বা মুখ ফুলা কমে যায়।
- হরিতকী গুঁড়ো নারিকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে আঙ্গুলের মাধ্যমে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করলে চুল ভালো থাকে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য বিট লবণ, ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
অশ্বগন্ধা খাওয়ার আশ্চার্যকর উপকারিতা জানতে অবশ্যই এই পোস্টি পড়ুন