Blog
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান করবে কেশ টনিক চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল
যে ভাবে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান করবে কেশ টনিক
কেশ টনিক একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ টনিক যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি চুল ও মাথার ত্বকের সমস্যা গুলোকে দূর করতে সহায়ক। তিলের তেল, কালোজিরার তেল, ভৃঙ্গরাজ, গোলাপ, মেহেদি, আমলকি এবং আরও বেশ কিছু দুর্লভ ঔষধি উপাদান সঠিক পরিমাপে ব্যবহার করে অভিজ্ঞ হাকিম দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। কেমিক্যাল ফ্রি এবং ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি করার কারণে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা নেই। এটি চুলের ও মাথার ত্বকের সমস্যা গুলোকে দূর করে চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত।
কেশ টনিক চুলের ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকরী (তবে হরমোনজনিত সমস্যা অথবা দীর্ঘদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনের ফলে চুল পড়লে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে)। খুশকি, চুল পড়ার মতো সাধারণ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা দূর করে, রিবন্ডিং করার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া চুল পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। সেই সাথে কালার করা চুলে ক্যামিকেলের মাত্রা কমিয়ে চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। এর নিয়মিত ব্যবহার নতুন চুল গজাতে সহায়ক এবং এটি গর্ভাবস্থায় ও ব্যবহার উপযোগী।
কেশ টনিক- এ ব্যবহৃত উপাদানগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং এগুলো আমরা সবাই কম বেশি আমাদের রেগুলার হেয়ার কেয়ারে ব্যবহার করে থাকি। গুণাগুণে ভরপুর এই উপাদানগুলো একসাথে পেয়ে যাবেন আমাদের কেশ টনিক-এ। তো চলুন কেশ টনিক এ ব্যবহৃত উপাদানগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে আলাদা করে জেনে নেই।
১. জবা (Hibiscus)
জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলো পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে, রুক্ষ চুলের যত্নে, খুশকি দূর করতে, চুল পড়া বন্ধ করে চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।
২. তিলের তেল (Sesame Oil)
কেশ টনিক-এ ব্যবহার করা হয়েছে তিলের তেল। আর তিলের তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং পুষ্টিগুণ যা চুল এবং মাথার ত্বকের উপকার করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে, স্ক্যাল্পের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে, চুলকে রোদের ক্ষতিকারক ইউভি-রে ও দূষণ থেকে রক্ষা করে।
৩. কালোজিরা তেল (Black Cumin Oil)
কালোজিরা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে ঝলমলে করে তোলে। এছাড়া কালোজিরা তেল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক বেশি উপকারী।
৪. ভৃঙ্গরাজ (Bhringaraj)
চুলের ফলিকল পুষ্ট করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে বিশেষ কার্যকরী। এছাড়াও, এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বকে সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৫. গোলাপ (Rose)
গোলাপ জলে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। এমনকী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানও আছে। সেই জন্যে স্ক্যাল্পে কোনও ইনফেকশন হলে তা সারিয়ে দিতে পারে গোলাপ জল। আবার স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতে ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬. মেহেদি (Henna)
মেহেদি চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতা, অকালপক্বতা দূর করে। মেহেদি মাথার ত্বক ঠাণ্ডা করে ও খুশকি দূর করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলে ন্যাচারাল কালার দিতে সাহায্য করে।
৭. আমলকি (Amlaki)
আমলকিতে উপস্থিত ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমলার ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে। এটি চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। কোলাজেন চুলের ফলিকলের মৃত কোষকে নতুন চুলের কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।
কেশ টনিক এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জেনে নেই -
► রাতে চুলের বিলি কেটে মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে (চুলের ঘনত্ব এবং লম্বা অনুযায়ী) এপ্লাই করে সারারাত মাথায় রেখে দিন।
► সকালে গোসলের সময় ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
► ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ব্যবহার করুন।