আমরা কমবেশি সবাই ত্বক পরিষ্কার করতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা কি জানি ফেসওয়াশ বারবার ব্যবহার এ ত্বকের কি ক্ষতি হয়? আসুন জেনেনেই ফেসওয়াশ বা ক্লিনজ়ার কত বার ব্যবহার করবেন.
আমরা কমবেশি সবাই ত্বক পরিষ্কার করতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা কি জানি ফেসওয়াশ বারবার ব্যবহার এ ত্বকের কি ক্ষতি হয়? ক্লিনজ়ার কেন এবং কিভাবে ব্যবহার করবো এবং ফেসওয়াশ কত বার ব্যবহার করবো।
ক্লিনজ়ার ব্যবহারের নিয়মাবলী
সকালে আমাদের ত্বক সর্বাধিক কোমল এবং নাজুক থাকে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই ত্বক পরিষ্কার না করলেই নয়। সকালে ত্বক পরিষ্কার করতে যদি ফেসওয়াশ ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বক দিন দিন বুড়িয়ে যেতে শুরু করে, ত্বকের লাবণ্যতা কমতে থাকে। ত্বকের সেলফ ডিফেন্স কার্যক্ষমতা হারিয়ে যেতে থাকে। আবার এই সময় ত্বক নাজুক থাকায় ত্বক এ ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক দিন দিন সেনসিটিভ হয়ে যেতে শুরু করে।
তাই, সকালে ত্বক পরিষ্কারে ব্যবহার করুন আপনার পছন্দের ক্লিনজ়ার ব্যবহার।
ফেসওয়াশ এর ফর্মুলা ত্বকের ভিতরে পৌঁছাতে পারেনা। যার ফলে ত্বকের অভ্যন্তরে ময়লা থেকে যায়। এক্ষেত্রে ক্লিনজ়ার ব্যবহার করলে ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার হয়।
মেকআপ বা সানস্ক্রিন ত্বকে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বক ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ৮০% সময়ই মেকআপ বা সানস্ক্রিন পুরোপুরি উঠিয়ে ফেল সম্ভব হয়না। কিন্তু, ক্লিনজ়ার হাত দিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করলে এর সকল ন্যানো পার্টিকেল ত্বক থেকে সুন্দর ভাবে উঠে আসে।
ক্লিনজ়ার ব্যবহার এ ত্বক অনেক লম্বা সময় ধরে ময়শ্চারাইজেড থাকে। যেটা ফেসওয়াশ ব্যবহার এ অনেকটা ড্রাই হয়ে যায়।
অনেক ক্লিনজ়ার এ প্রয়োজনীয় ভিটামিন আছে যা ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার এ সাহায্য করে।
আবার শুধুমাত্র ক্লিনজ়ার ব্যবহার করলেই হয়না, প্রতিদিনের ইউজের জন্য স্কিন টাইপ অনুযায়ী যেকোনো মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বককে ডিপ ক্লিন করতে সাহায্য করে এবং মসৃণতা বজায় রাখবে।