Blog
জেনে নিন হার্বাল (ভেষজ) ও অর্গানিক (জৈব) পণ্যের পার্থক্য
আপনি কি পরিবেশ বান্ধব পণ্য কেনার উদ্দেশ্যে বাজারে গিয়েছেন? মোটামুটি সবাই বিভিন্ন ধরণের লেবেল দেখে দ্বিধায় পড়ে যান; ১০০% হার্বাল অথবা অর্গানিক কোনটি ভাল? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এই বিভ্রান্ত হবেন না, কারণ অনেকেই অর্গানিক এবং হার্বাল প্রডাক্ট ক্যাটাগরি নিয়ে দ্বিধায় থাকেন।
যদিও এই পণ্যগুলি বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তবুও এখনও কিছু বিভ্রান্তি রয়েই গেছে এদের মূল বৈশিষ্ট্য প্রায় মিলে যায় বলে।
এখনও আমাদের অনেকেরই এই পণ্যগুলি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। সুতরাং অর্গানিক (জৈব) এবং হার্বাল (ভেষজ) পণ্যগুলি সম্পর্কে পড়ুন। হার্বাল এবং অর্গানিক পণ্যগুলির মধ্যে পার্থক্য জানুন।
প্রাকৃতিক (অর্গানিক) পণ্যগুলি উদ্ভিদ এবং খনিজ থেকে তৈরি হয় যা প্রকৃতিতে ঘটে এবং কোনও পরীক্ষাগারে উৎপাদিত হয় না এবং মানুষও তৈরি করে না। তবে কীটনাশক, রাসায়নিক সার ইত্যাদি তাদের বর্ধনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনও পণ্য প্রাকৃতিক কিনা তা বুঝতে, তার বিস্তারিত উপাদানগুলির তালিকাটি পরীক্ষা করে দেখুন। সবচেয়ে বড় কথা ‘প্রাকৃতিক’ শব্দের উপর কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
আমাদের প্রায়শই মনে প্রশ্ন ওঠে হার্বাল বা ভেষজ এবং অর্গানিক বা জৈব পণ্যগুলির মধ্যে পার্থক্য কী।
হার্বাল (ভেষজ) পণ্য
হারবাল শব্দটির উৎপত্তি মধ্যযুগীয় লাতিন শব্দ medieval Latin liber herbails থেকে। গাছপালা, পাতা এবং ফুল ইত্যাদির নির্যাস দিয়ে (হার্বাল) ভেষজ পণ্য তৈরি হয়ে থাকে। এই পণ্যগুলি স্বাস্থ্যের উন্নতি সহ বিভিন্ন থেরাপিউটিক কারণেও কার্যকর বলে প্রমাণিত। সমস্ত (হার্বাল) ভেষজ পণ্য রাসায়নিক দ্রব্য মুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে, এই পণ্যগুলির উপাদান বাড়ানোর জন্য কিছু রাসায়নিক দ্রব্য জড়িত। এসব পণ্য গাছপালা, পাতা এবং ফুল দিয়ে তৈরি। তবে গাছের বৃদ্ধির জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য কোনও বৈশ্বিক বা স্থানীয় মান নেই।
অর্গানিক (জৈব) পণ্য
এই পণ্যগুলি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি এবং কীটনাশক, সার এবং ভেষজনাশক জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এসব পণ্য জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, কালচারাল ইন্টিগ্রেশন এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা সহ কয়েকটি অনুমোদিত পদ্ধতিতে তৈরি হয়। অর্গানিক বা জৈব পণ্যগুলি উৎপাদনে, জমিতে পুষ্টি প্রতিস্থাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর উর্বর মাটি তৈরি করা হয়, এবং মাটিতে জৈব পদার্থ যেমন কম্পোস্ট যুক্ত করা হয়। এসব পণ্য প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি। সার, কীটনাশক এবং ভেষজনাশক কোন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় না। এসব পণ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে অনেক বৈশ্বিক (গ্লোবাল) এবং স্থানীয় মানদন্ড রয়েছে।
হারবাল এর তুলনায় অর্গানিক পণ্য গুলো দেরিতে কাজ করলেও নিয়মিত ব্যবহারের অর্গানিক পণ্য গুলো সর্বাধিক ভালো ফলাফল দেয়। ত্বক এবং চুলের যত্নে অর্গানিক পণ্য ব্যবহারে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়। এতে কোন ধরনের স্বাস্থ্যহানি ঘটে না এবং হরমোনাল পরিবর্তনের আশঙ্কা থাকে না, যাদের সেনসিটিভ ত্বক তারা অনায়াসে অর্গানিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের ব্রণ ,ব্রণের দাগ , গর্ত, বলিরেখা , লালচে এবং ফোলা ভাব কমাতে অর্গানিক ফেসপ্যাক রয়েছে। এছাড়া ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে গিয়ে যখন নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে তখন ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে এসব অর্গানিক ফেসপ্যাক অনেক ভালো কাজ করে।
জেনে নিতে পারেন: প্রতিদিন ত্বকের যত্নে Cleansing Milk এর কার্যকারিতা