Blog
ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনুন ‘লাবণ্যলতা’ ব্যবহার করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা কোথাও হারিয়ে গেছে, তাই না? প্রতিদিনের ধুলো-বালি, ময়লা আর দূষণের কারণে আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। আর এই হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা কতকিছুই না ব্যবহার করি। কিন্তু কয়টা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে আমরা কাঙ্খিত ফল পাই? একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা মুখটাকে ভালো করে পরিষ্কার করি না যার ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আবার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করার কারণে স্কিনকেয়ার এর কোনো প্রোডাক্ট আমাদের ত্বকে কাজ করে না। তাই প্রতিদিনের স্কিনকেয়ার এর জন্য সবার প্রথম যে কাজটি আমাদের করা উচিত সেটা হলো একটা ভালো ক্লেনজার ব্যবহার করা এবং ত্বকের ধরণ অনুযায়ী খুব ভালো একটি ময়শ্চারাইযার ব্যবহার করা। সেইসাথে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন লাবণ্যলতা।
লাবন্যলতায় ব্যবহার করা হয়েছে যষ্টিমধু, মেথি পাউডার, কমলার খোসা গুঁড়ো, কফি এক্ট্রাক্টসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের ত্বকের মলিনতা দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও চর্মরোগ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সেইসাথে ত্বকের আর্দ্রতা সংরক্ষণ করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এর নিয়মিত ব্যবহারে মুখের দাগছোপ, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ এবং অন্যান্য ক্ষতর দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বক মসৃন করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি তে যষ্টিমধু যথেষ্ট কার্যকরী। ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এটি তারুণ্যকে ধরে রাখতে সহায়ক। মেথি ভিটামিন সি আর ভিটামিন এ’র প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ। এর নিয়মিত ব্যবহারে মুখের দাগ, অ্যাকনে, ট্যান বা রোদে পোড়া দাগ এবং অন্যান্য ক্ষতর দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। ত্বক আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল, টানটান, মসৃণ ও দাগছোপহীন হবে। তাছাড়া মেথি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে । পুষ্টিগুণে গুণান্বিত কমলার খোসা এন্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস। কমলার রসালো কোষের চেয়ে খোসায় ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকে। এটি ত্বকের শুষ্কতা এবং অ্যালার্জি নিরাময় করে ত্বককে সতেজ করে তুলে। সেইসাথে ত্বকের আর্দ্রতা সংরক্ষণ করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া কমলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা প্রতিদিনকার জীবাণু, ব্রণ ও চর্মরোগ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে। কফি এক্সফলিয়েটর হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান লাগে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ, চেহারায় ভাঁজ, চামড়া ঝুলে পড়ার প্রবণতা কমায়। এছাড়াও ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে এবং পিগমেন্টেইশনের সমস্যা কমাতে কফি উপকারী। ত্বকের ‘স্ট্রেইচ মার্ক’ এবং সেলুলাইট সাময়িকভাবে কমিয়ে ত্বকে মসৃণভাব আনতে সাহায্য করে। চোখের চারপাশের কালো দাগ, ফোলাভাব ইত্যাদি কমাতেও কফি উপকারী।
আর এই সবগুলো প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে লাবণ্যলতা যার নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের সমস্যাগুলো দূর করার পাশাপাশি আপনার ত্বককে করে তুলবে লাবণ্যময়ী ।
ব্যবহারবিধি-
ত্বক ভালোভাবে ক্লেনজার দিয়ে পরিষ্কার করে আলতো ভাবে মুছে নিন। একটি পরিষ্কার পাত্রে পরিমান মতো প্যাক নিয়ে নিন। এক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করুন (ধাতব পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো)। মসৃণ পেস্ট তৈরী করার জন্য পরিমান মতো পানি নিয়ে (সামান্য গোলাপজল ,দুধ ব্যবহার করা যায়) ভালোভাবে গুলে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখমণ্ডল, হাত, পা, গলা, কনুইসহ শরীরের যেকোনো অংশে ব্যবহার করা যাবে। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানিতে ত্বক হালকা ভিজিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করে প্যাকটি ধুয়ে ফেলতে হবে।
ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন অন্তত একবার ব্যবহার করুন এবং ব্যবহারের পর অবশ্যই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
আরো জানুন ব্রণের সমস্যা দূর করার উপায়। সতেজ মন্ত্র হতে পারে আপনার সেরা সমাধান