Blog
সঠিক নিয়মে তুলসী পাতা সেবন করলে মিলবে যত সব উপকারিতা
তুলসী পাতা সুপারফুড না হলেও এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তুলসীকে ইংরেজিতে বলা হয় Holy Basil, বা tulasi, এর বৈজ্ঞানিক নাম "Ocimum Sanctum"। আমাদের দেশে এটি সর্বত্রই দেখা যায় তবে ভারত সহ এশিয়ার দেশগুলোতে তুলসী পাওয়া যায়। ঔষধ হিসেবে তুলসী পাতার ব্যবহার বেশ পুরোনো। ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ এই পাতা। এটি সর্দি, কাশি সহ নানান রোগের চিকিৎসা অনেক কার্যকরী। আজ আমরা আলোচনা করবো তুলসী পাতার উপকারিতা সহ খাওয়ার নিয়ম।
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- তুলসী পাতা সব থেকে বেশি কার্যকরী সর্দি কাশি নিরাময় করতে। অর্থাৎ ঠান্ডা জনিত সমস্যা, গলাব্যথা, গলায় কফ জমে থাকা ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতা গুঁড়োর চা অনেক কার্যকরী।
- শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা কমাতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী।
- ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা গুঁড়োর পেস্ট লাগালে তা দ্রুত শুকায়।
- তুলসীতে থাকা স্যাপোনিন, ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড যা বহু'মূত্র রোধ করতে সাহায্য করে।
- জ্বর হলে তুলসী পাতা বা তুলসী পাতার গুঁড়ো খেতে পারেন এতে প্রতিকার পাওয়া যায়।
- গরম পানির সাথে তুলসী পাতা বা তুলসী পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ এবং মুখের রোগজীবাণু দূর হয়।
- তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাড়ায়।
- পেটের সমস্যা দূর করতে নিয়ম করে তুলসী পাতা সেবন করতে পারেন।
- মুখের অরুচি থাকলে রুচি বাড়াতে নিয়ম করে তুলসী গুঁড়ো সেবন করতে পারেন।
- তুলসীতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান যা মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী।
- এটি সেবনে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ সমস্যা দূর করে।
তুলসী পাতার গুঁড়ো সেবনের নিয়মাবলী:
আপনি তুলসী পাতা কিংবা পাতার গুঁড়ো যে কোন টি ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়ো ব্যবহার করলে সুবিধা টি হলো অনেক দিন করা যায়। তবে অবশ্যই ভালো মানের গুঁড়ো সংগ্রহ করতে হবে।
আমাদের কাছে পাবেন ভালো মানের তুলসী পাতার গুঁড়ো যা বাজারের গুঁড়ো থেকে অনেক বেশি গুণগত মান সম্পূর্ণ। আমাদের গুঁড়ো যেভাবে সেবন করতে পারেন।
- চা পাতার সাথে তুলসী গুঁড়ো মিশিয়ে চা হিসেবে খেতে পারেন।
- সর্দি-কাশি দূর করতে তুলসী পাতা গুঁড়োর সাথে আদার রস ও কুসুম গরম পানি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন ৷
- কুসুম গরম পানির সাথে তুলসী গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবার শুধু পানি ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন।
- তুলসী গুঁড়োর সাথে বেসন, কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন এতে ত্বক এবং মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে
এক ক্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ গুঁড়ো মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। বেশি স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়াতে মধু মেশাতে পারেন।
তুলসী গুঁড়োর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময় সামান্য তুলসী পাতা খেলে তা ক্ষতিকর নয় তবে অতিরিক্ত তুলসি পাতা খেলে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে, তাই এই সময় গুলোতে তুলসী এড়িয়ে চলাই উত্তম।
- যে কোনো সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে এবং পরে তুলসি পাতা কিংবা তুলসি পাতার কোনো খাবার খাওয়া বন্ধ রাখুন।
- তুলসী পাতায় রয়েছে অতিরিক্ত পটাশিয়াম। ফলে কমে যেতে পারে রক্তচাপ। তাই কারও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তুলসী পাতা না খাওয়াই উত্তম।
চন্দন গুঁড়ো যেভাবে ব্যবহার করলে দূর্দান্ত উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।