ঘি বাঙালিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় একটি খাদ্য উপাদান। এটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি খাবার হিসেবে পরিচিত যে কারণে এটিকে সুপার ফুড বলা হয়। আমরা এই ঐতিহ্যবাহী উপাদানটি অন্যান্য খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বাড়াতে খেয়ে থাকি। কিন্তু এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না সেই সাথে এতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঘি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঘিয়ে রয়েছে বুটিরিক অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যারাকিডোনিক, লিনোলেনিক ভিটামিন এ, ভিটামিন বি 12, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। এছাড়াও অনেক পুষ্টি উপাদান যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক খাঁটি ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি সেই সাথে ঘি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
ঘি খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত আমরা ঘি পেয়ে থাকি মহিষ এবং গরুর দুধ থেকে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো, কোন দুধের ঘি ভালো এবং পুষ্টিগুণ বেশি? উত্তর গরুর দুধের ঘি। এটি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক:
- ঘিয়ে রয়েছে ব্যাটাইরিক অ্যাসিড যার পুষ্টিগুণে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে।
- এটি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- ঘি মানসিক চাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, জয়েন্টে ব্যথা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ঘিয়ে রয়েছে কনজুগেটেড লিলোনেক অ্যাসিড যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
- এটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান যা আপনার শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো ভাবে শোষিত হয় এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘা সহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।
- ঘি তে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্ট রোগীদের জন্য এবং ব্রেইনের সুস্বাস্থের জন্য উপকারী।
ঘি এমন একটি উপাদান শুধু খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়।
ঘি খাওয়ার নিয়ম
ঘি যেহেতু অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার তাই ঘি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানাও জরুরী। কেননা প্রতিটা জিনিসের উপকারের পাশাপাশি এর অপব্যবহারের ফলে অপকারিতাও রয়েছে।
পুষ্টিবিদ সুস্মিতা খান বলেন, ঘিয়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা থাকলেও তা পরিমাণমত খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে ২ চা চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিৎ নয়। আবার ঘি খেলে সেদিন অন্য কোন তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। আবার যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং কিডনির গুরুতর সমস্যা আছে, তারা ঘি খাওয়ার ব্যাপার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন।
আমরা ঘি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি। গরম ভাতে ঘি মিশিয়ে খেতে দারুণ লাগে, এছাড়াও খিচুড়ি, বিরিয়ানি এবং পোলাও সহ বিভিন্ন রান্নায় ঘি ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টি গুণ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। এমনকি দুধের সাথে ও পরোটার সাথে মিশিয়ে ঘি খাওয়া হয়। তবে শারীরিক সমস্যা সমাধানে ঘি খাওয়ার নিয়মের ভিন্নতা রয়েছে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
- ওজন কমানোর জন্য সকালে ঘি খেলে শরীরের কোলেস্টেরল বার্ন হয়ে অতিরিক্ত চর্বি জমা রোধ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- যেকোনো তরকারি কিংবা খাবার, ঘি দিয়ে রান্না করলে সেই খাবার থেকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল উৎপন্ন করে না। সেই সাথে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য গুণাগুণ বজায় থাকে খাবারে।
- আপনার শরীরকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে সুস্থ রাখতে চাইলে আপনি এক চামচ ঘি এর সাথে সামান্য গোল মরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশ উপকার পাবেন।
Desi Cream Ghee – ক্রিমের গাওয়া ঘি
In stock
Psyllium Husk | Isobguler Bhushi (ইসবগুলের ভুসি) – 50 gm
In stock
Chia Seed (চিয়া সিড) – 100 gm
In stock
Royal Flavor Sor Ghee (রাজকীয় স্বাদের সরের ঘি)
In stock
Natural Honey – প্রাকৃতিক চাকের মধু – (500 gm)
In stock