Blog
বাইন ফুলের মধুর উপকারিতা এবং গুণাগুণ
সুন্দরবনের একটি অতি পরিচিত গাছ হচ্ছে বাইন। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Avicennia Officinalis Linn। বাইন গাছ সাধারণত সুন্দরবনের নদীর ধারে কিংবা বনের গহীনে ভিতরে নিচু এলাকায় জন্মায়। এই গাছ সাধারনত ১৩ মিঃ থেকে ২০ মিঃ উচু এবং ৪-৫ মিঃ বেড় হয়ে থাকে।
এই গাছ সুন্দরবনে একক ভাবে জন্মে থাকে। তবে কখনো কখনো কেওড়া ও গোলপাতার সাথে দেখা যায়। এছাড়াও নতুন মাটি হলেই খাল বা নদীর ধারে বা চরে বাইন জন্মে থাকে। এই গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না এটা বেশির ভাগ জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আষাঢ় মাসে বাইন গাছের ফুল ফুটে , শ্রাবণ এবং ভাদ্র মাসে এর ফল পাকে। বাইন গাছের ফুলের রং সাধারণত কমলা হলুদ বর্ণের এবং ১০-১২ মিলিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
যেহুতু আষাঢ় মাসে বাইন গাছের ফুল ফুটে তাই বাইন ফুলের মধু আহরণ শুরু হয় আষাঢ় মাস থেকেই। এই সময় মৌয়ালদের মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে চলে যায়। এ মধু খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে বেশি পাওয়ায় যায়।
বাইন ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য
- বাইন ফুলের মধু সহনীয়, মিষ্টি ও ঝাঁঝালো, খলিশা বা পশুর মধুর মতো অতো কড়া না।
- দেখতে পশুর মধু থেকে একটু হালকা রঙ ও পাতলা হয়ে থাকে।
- এই মধু ফ্রিজে রাখলে জমাট বাঁধে না।
- এই মধুতে একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে।
মূলত খাঁটি মধু চেনার উপযুক্ত কোনো নিয়ম নেই ল্যাব টেস্ট ছাড়া। তাই অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বোকা বানিয়ে আপনাদের কাছে মধু বিক্রি করে। তাই খাঁটি মধু কিনতে হলে অবশ্যই একজন বিশস্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মধু ক্রয় করতে হবে।
আরো জেনে নিন
Black Cumin Seed Flower Honey- কালোজিরা ফুলের মধু
In stock
Mustard Flower Honey- সরিষা ফুলের মধু
In stock
Sundarban Crown (Khalisha) Flower Honey- সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু
In stock