Blog
কেওড়া ফুলের মধুর উপকারিতা এবং গুণাগুণ
সুন্দরবনে কয়েকটা ফুলের মধু পাওয়া যায় তার মাঝে কেওড়া ফুলের মধু অন্যতম। সুন্দরবনের নদী ও খালের তীর এবং চরে এ গাছ বেশি জন্মায় তবে লবনাক্ত ভূমিতে বেশি জন্মে। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Sonneratia apetala। এই গাছটি প্রায় ২.৫ মিটার থেকে ২০ মিটার লম্বা হতে পারে।
আমাদের দেশে এই গাছ সুন্দরবনসহ বিষখালী ও বলেশ্বর নদঘেঁষা সবুজ বেষ্টনীর অংশ হয়ে ঘিরে রেখেছে সমুদ্র উপকূল। কেওড়া ফল হরিণ এবং বানরের অনেক পছন্দের খাবার তাই এই গাছের নিচে হরিণের দল দেখা যায়। এই গাছের ফুল গুলো হয় ছোট ছোট হলুদ বর্ণের। উভলিঙ্গের এ ফুল থেকে আমার কেওড়া মধু পেয়ে থাকি।
সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুলে ভরে উঠে সুন্দরবন, আর এই সময় মৌমাছি ফুল থেকে মধু আহরণ করে গাছে গাছে প্রাকৃতিক ভাবে চাক বানায়। সুন্দরবনে ফুল ফোটার নির্দিষ্ট সময়ের বিভিন্ন পর্যায়ে ফোটে বাইন, খলিশা, গরান ও কেওড়া ফুল। মার্চ থেকে খলিশা ফুল ফোটে আর এই সময় যে মধু সংগ্রহ করা হয় তাই খলিশা ফুলের মধু। এর পরে আসে গরান, গরানের শেষে (এপ্রিলের শেষের দিকে) বাইন এবং কেওড়া ফুল ফোটে এই সময় কেওড়া ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়।
কেওড়া ফুলের মধু নিয়ে কিছু কথা
- কেঁওড়া ফুলের মধু অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন৷
- এই মধুতে জলীয় অংশ (Moisture) বেশি (প্রায় ২৬%) থাকার কারণে অন্যান্য মধু থেকে অনেক পাতলা হয় ৷
- এই মধু কিছুটা হলদে বর্ণের হতে পারে কারণ কেওড়া ফুল হলদে বর্ণের হয়ে থাকে।
- মধুর পাত্রের গায়ে গাঁদ জমে যেতে পারে কারণ এগুলো মৌয়ালদের হাতের কাটা মধু ৷
- কাঁচা মধু বিধায় পাত্রের মধ্যে হালকা গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে ৷
- ঝাঁকি লাগলে ফেনা হয় এবং বুদবুদ (Air Bubble) সৃষ্টি হয় ৷
- pH মাত্রা বেশি থাকার কারণে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া/ঈস্ট সক্রিয় হতে পারেনা ৷
মূলত খাঁটি মধু চেনার উপযুক্ত কোনো নিয়ম নেই ল্যাব টেস্ট ছাড়া। তাই অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বোকা বানিয়ে আপনাদের কাছে মধু বিক্রি করে। তাই খাঁটি মধু কিনতে হলে অবশ্যই একজন বিশস্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মধু ক্রয় করতে হবে।
আরো জেনে নিন
Black Cumin Seed Flower Honey- কালোজিরা ফুলের মধু
In stock
Mustard Flower Honey- সরিষা ফুলের মধু
In stock
Sundarban Crown (Khalisha) Flower Honey- সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু
In stock